কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের ইতিহাসঃ কুষ্টিয়া জেলা কারাগারটি সাব জেল হিসেবে মাগুরা শহরের মধ্যবর্তীস্থানে মাত্র ১.৭৯ একর জমির উপর ১তলা দালান বিশিষ্ট ছিল। তৎকালীন এই সাবজেলের ধারণ ক্ষমতা ছিল পুরুষ ৩৬ জন, মহিলা ০৬ জন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে এই কারাগারটি জেলা কারাগারে রূপান্তরিত হয়। ২০০১ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ১ কিঃমিঃ পশ্চিমে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক সংলগ্ন রাস্তার উত্তরপার্শ্বে নির্র্মত হয় নিম্নবর্ণিত কালে
কারাগার প্রতিষ্ঠার তারিখ : ০১-০২-১৯৬৮ খ্রিঃ।
কারাগারের ধারণ ক্ষমতাঃ
পুরুষ-590 জন
মহিলা-10 জন
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারটি ০১.০২.১৯৬৮ খ্রি: তারিখ প্রতিষ্ঠিত হয়। কারাগারে মোট ভূমির পরিমন-২৯.৬৪ একর, কারাভ্যন্তরে ভূমির পরিমাণ-৫.৬৬ একর, কারা বহি:স্থ ভূমির পরিমান-২৪.৩৬ একর। এ কারাগারে আবাদি জমি প্রায় ৮.০০ একর বিধায় এখানে প্রচুর পরিমান শাক-সব্জি উৎপাদন হয় যেমন-মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পুঁইশাক, গাজর ও অন্যান্য ফসলাদি উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত শাক-সব্জি ও অন্যান্য ফসলাদি বন্দিদের খাদ্য বাবদ ব্যয় হয় ফলশ্রুতিতে সরকারের প্রচুর আর্থিক সাশ্রয় হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কুষ্টিয়া কর্তৃক কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের স্বাক্ষরজ্ঞান (গণশিক্ষা) দান এবং শিক্ষিত বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষাদান করার জন্য শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছে। কারাভ্যন্তরে ধর্মীয় শিক্ষা দানের জন্য ০১ জন ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োজিত আছে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। তাছাড়া মহিলা বন্দিদের সেলাই ও নক্সী কাঁথা সেলাই শিক্ষা দেয়া হয় এবং পুরুষ বন্দিদের হস্তশিল্প ও কারিগরি কাজ শেখানো হয়।
কারা শিল্পের বিবরণ;
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে তাঁত শিল্প রয়েছে। এখানে কয়েদি বন্দিদের কাপড় ও গামছা উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও লুঙ্গি, গামছা, বেডশীট, পিলোকভার তৈরি করা হয়। এছাড়াও কারা মুক্তির পর বন্দিদের স্বাভলম্বী করার জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বন্দি বিনোদন;
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের বন্দিদের জন্য টি.ভি, ক্যারামবোর্ড, তাস, দাবা ও লুডু ইত্যাদি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
যানবাহন;
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে একটি ডাবল কেবিন গাড়ী ও একটি মটর সাইকেল রয়েছে।
বন্দিদের আইনগত সহায়তা প্রদান;
সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান/এনজিও’র সহায়তায় বন্দিদের আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্তিদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রম চলমান আছে। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বন্দিদের সচেতন করার কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।
বন্দি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা;
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে বন্দিদের স্বল্প পরিসরে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। টেলিভিশন,ফ্যান মেরামত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনর তত্ত্ববধানে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের কোরআন শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা দান চালু রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় স্বল্প পরিসরে কারা বন্দিদের হস্ত শিল্প উৎপাদনের প্রশিক্ষণও চলমান রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের কারাভ্যন্তর ও বাহিরের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম।
বেসরকারী কারা পরিদর্শকগণের তালিকা;
(১) জনাব মো: মাহবুব উল আলম হানিফ, মাননীয় সংসদ সদস্য, কুষ্টিয়া-৩।
(২) জনাব হাসানুল হক ইনু, মাননীয় সংসদ সদস্য কুষ্টিয়া-২।
(৩) জনাব হাজী রবিউল ইসলাম।
(৪) জনাব মো: আজগর আলী।
(৫) জনাব আলহাজ গোলাম মহাসিন।
(৬) এ্যাড: আসম আখতারুজ্জামান মাসুম।
(৭) এ্যাড: অনুপ কুমার নন্দী।
(৮) এ্যাডভোকেট মঞ্জুরী বেগম
(৯) ডাঃ খালেদা খাতুন
কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের হিসাব বিবরণী :
ছবি
সংযুক্তি
সংযুক্তি (একাধিক)